**আপনি কি অন্য কোন মানুষ বা পরিস্থিতিকে কখনো আপনার জীবন, মেজাজ এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করার অনুমতি দিবেন? অবশ্যই না....। কেউ যদি আপনার কাজের সমালোচনা করেন, বা আপনাকে নিয়ে অযাচিত কোন মন্তব্য করেন তাহলে মনের উপর কিরকম প্রভাব পড়তে পারে? অবশ্যই তাদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন।
**যদি আপনার চলন্ত গাড়ির সামনে, হঠাৎ করেই একজন বেপরোয়া চালক কোন সংকেত ছাড়াই সামনে চলে আসে, এবং উল্টো আপনার সাথে তর্ক করে, তাহলে কেমন প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত? এই পরিস্থিতিতে, আপনি কি ঘটনাটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পরিস্থিতিতে থাকবেন? নাকি রাগান্বিত অবস্থায় ফেটে পড়বেন?
**প্রায় প্রতিদিনই এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই থাকে আমাদের চারপাশে। হয়তো কিছু ঘটনার সাক্ষী আপনাকে হতে হয়। আপনাকে কতক্ষণ বা প্রায় কত ঘন্টা এরকম পরিস্থিতির ভিতরে থাকতে হয়, সেটা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। কারণ অপ্রত্যাশিত এই পরিস্থিতি গুলো নিয়ে যদি আপনি সর্বদা আলোচনা করেন এবং দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন, তাহলে আপনার পরিবার ও কর্মস্থলের উপর তার বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।
**মানুষের ভাষা এবং তাদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার কোনও অধিকার আমাদের নেই। তবে আমরা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং অন্যদের থেকে আলাদা প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেষ্টা করতে পারি। তাতে বিপরীত পক্ষের প্রতিক্রিয়াও চেঞ্জ হতে পারে। অন্তত নিজস্ব কিছু আচরণ, ধারণা এবং বক্তব্যের প্রতি নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
**অতীতকে কখনোই আপনার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ কে নিয়ন্ত্রণ করতে দিবেন না। অতীতে আপনার সাথে খারাপ কিছু যাই ঘটেছে কিনা, সেগুলো সব ভুলে যেতে হবে। অতীতের ব্যথা পিছনে ফেলে আসতে হবে, তা না হলে এটা আপনার ভবিষ্যৎ কে ধ্বংস করে দিবে। আপনার অতীতের দুঃখ, রাগ, ক্ষোভ, হিংসা সব পেছনে ফেলে দিন, যাতে এটি আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আলোকে নিভিয়ে দিতে না পারে।
**আপনার অতীত চলে গেছে সেটা নির্লজ্জ, নির্বোধ, নিষ্ঠুর নির্বিশেষে যাই হোক না কেন, সেই সময়ের কথা মনে রাখা আপনার কখনই কোনো উপকারেই আসবেনা।
**আপনার সাথে যদি কেউ খারাপ আচরণ করে, তাহলে জেতার একমাত্র উপায় হলো তাদেরকে এড়িয়ে চলা। কারণ আপনি যদি তাদের মত আচরণ করেন এবং ঘৃণা পুষে রাখেন, তাহলে জয় হবে আপনার শত্রুদের। সুতরাং তাদেরকে এড়িয়ে চলুন এবং আপনার সুন্দর ভবিষ্যত তৈরির স্বপ্ন দেখুন এবং সে অনুযায়ী কাজে লেগে পড়ুন।
***অন্যের মতামত এবং সিদ্ধান্ত শুনবেন কিন্তু আপনার জীবনকে কখনো নিয়ন্ত্রণ করতে দিবেন না। আপনি জীবনের কোন পথে ভ্রমণ করতে চান, প্রয়োজন অনুসারে সে সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনার নিজেকেই নিতে হবে। অন্যদেরকে কখনই সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট করতে পারবেন না, তাই এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। কিছু করার আগে নিজেকে অন্তত একবার জিজ্ঞেস করুন: আমি এটা করতে চাই সেজন্য করছি? নাকি অন্যরা কি ভাববে সেই ভয়ে করছি?
**ভাবুন আপনি অন্যদের থেকে আলাদা, অনন্য এবং মূল্যবান হয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। যারা আপনার প্রশংসা করে এবং আপনাকে অনুসরন করে তাদেরকে নিরাশ করবেন না। নিজের মত করেই আলো ছড়াতে থাকুন। কারণ হয়তো অনেকেই আপনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়।আপনি নিজের মত করেই জ্বলে উঠুন এবং আলো ছড়িয়ে দিন। যে আপনাকে সত্যিই ভালবাসে এবং পছন্দ করে, সে আপনার আলোর ঝলকানি ঠিকই দেখতে পাবে।
0 Comments