সুতরাং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভালবাসাময় সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে, তাহলে শিশুরাও আন্তরিক ও সামাজিক হতে শেখে। আর পরিবারে অশান্তি থাকলে শিশুরা অবসাদে ভোগে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানার জন্য তাদের মেজাজ, আবেগ এবং আচরণের প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারি আমরা। কারণ শিশুরা তাদের মানসিক সমস্যা নিজে বুঝতে এবং বলতে পারে না। তাই বাবা-মা এবং পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক অন্যান্য সদস্যদের অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার জন্য সাধারণ কিছু লক্ষণ:
**প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ওঠা।
**আচরণে হিংস্রতা প্রকাশ পাওয়া।
**ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন হওয়া।
**স্কুলের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন আসা।
**হঠাৎ করেই বিছানায় প্রস্রাব করা শুরু করা।
**অবাধ্য আচরণ করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।
**সামান্য কারণে জিদ করা।
এগুলো হচ্ছে কিছু সাধারণ লক্ষণ। সব শিশুদের ক্ষেত্রে একই উপসর্গ দেখা যায় না। তবে শিশুদের সাধারণ আচরণ থেকে পরিবর্তন হচ্ছে কি না, তা লক্ষ্য করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সর্বোপরি অবশ্যই সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
1 Comments
অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ReplyDelete